সেই সব রহস্যের কোনওটার চরিত্র যদি আপাতদৃষ্টিতে ছেলেমানুষি বলে বোধ হয়, তো কোনওটার ডিটেলস শুনে হাড় হিম হয়ে যেতে পারে।
ভারতের কোন কোণে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তার হদিশ করতে করতে একটা গোটা জীবন কেটে যেতে পারে, কিন্তু তার থই পাওয়া সম্ভব হবে না। আর সেই সব রহস্যের কোনওটার চরিত্র যদি আপাতদৃষ্টিতে ছেলেমানুষি বলে বোধ হয়, তো কোনওটার ডিটেলস শুনে হাড় হিম হয়ে যেতে পারে। কী রয়েছে এই রহস্যের অন্তে, সে বিষয়ে মাথা ঘামানোর আগেই মনে হতে পারে, রহস্য থাক রহস্যেই। তেমন ‘বিশুদ্ধ’ রহস্যের কয়েকটিকে এখানে তুলে আনা হল।
ভূতবিল্লি— নাম শুনে যতই হাসি পাক, ভূতবিল্লি কিন্তু খুব সাধারণ জিনিস নয়। সে নাকি বিড়াল, কুকুর আর বেজির একটা ক্রসব্রিড। তার আকার খুবই ছোট আর সে বিরাট লাফ মারতে পারে। তার চরিত্রে নাকি হিংস্রতম জন্তুদের সবক’টি গুণই বর্তমান। পুণে-সন্নিহিত এলাকায় ভূতবিল্লির কাহিনি খুবই জনপ্রিয়। বাড়ির মুরগি-ছাগল থেকে শুরু করে তেমন সুবিধে পেলে মানুষকেও আক্রমণ করে এই পিশাচ-কাটিং বিড়াল। তবে একে চর্মচক্ষে দেখেছেন, এমন মানুষের কথা জানাই যায় না।
যোধপুরের রহস্যময় বিস্ফোরণ— ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর যোধপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এক প্রকাণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই বিরাট আওয়াজের উৎস ঠিক কী, তা আজও জানা যায়নি। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই একই রকমের আওয়াজ শোনা যেতে থাকে। এবং তা মোটামুটি এক সপ্তাহ ধরে চলে। কেউ কেই বলেন, এই আওয়াজের সঙ্গে চোখ ধাঁধানো সবুজ আলোও নাকি দেখা গিয়েছে। ব্যাপারটা যে ঠিক কী, তা আজও জানা যায়নি।
তাজমহল রহস্য— ভারতের সব থেকে জনপ্রিয় সৌধটিকে ঘিরেও দানা বেঁধে রয়েছে অনেক রহস্য। সম্রাট শাহজাহান নির্মিত এই সৌধ সত্যিই তাঁর মহিষী মমতাজ মহলের স্মৃতি বহন করছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তাকেন এক বড় সংখ্যক ঐতিহাসিক। তাঁদের মতে, তাজমহলের কাঠামোটি আরও বেশি পুরনো। তাজমহল আগে কোনও হিন্দু মন্দির ছিল— এমন মন্তব্য করে কেউ কেউ বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। তাজমহলের নীচে ঠিক কী রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সদা বহমান থেকেছে এদেশে।
নয়জনের চক্র— প্রাচীন ভারতেও নাকি গুপ্ত সমিতি ছিল। আর তার স্রষ্টা ছিলেন নাকি স্বয়ং সম্রাট অশোক। ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গঠিত এই সমিতি এমন এক রহস্যকে বহন করে, যা কোনও ভুল হাতে পড়লে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। ন’জন ব্যক্তির হাতে নাকি এমন একটি গ্রন্থ রয়েছে, যার বিষয় সর্বব্যাপ্ত জ্ঞান। এই ‘নয়জনের চক্র’ সংক্রান্ত কাহিনি ভারতের বাইরেও অনেকই চর্চা করেন। আর অনেকেরই বিশ্বাস এই সমিতি আজও দারুণভাবে জীবিত।
আলেয়া— না, এটা কোনও সাধারণ আলেয়া নয়। পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও নদী-প্রধান এলাকায় এই রহস্যময় আলোকে অনেকেই দেখেছেন বলে দাবি করেন। তাঁদের মতে এই আলো অপঘাতে মৃত মৎস্যজীবীদের আত্মা। নদীর ধারে অনেক সময়েই অজ্ঞাতকারণে মৃত ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকেত দেখা যায়। আর এই সব মৃত্যুর দায় গিয়ে পড়ে ‘আলেয়া’-র ঘাড়েই।
No comments:
Post a Comment